নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ১৪ দলের সমর্থন জানিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর আলী আহাম্মদ চুনকা মিলায়তনের প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, ‘আমি আমার দলের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস রেখে কথাটি বলেছিলাম। আমি দলের প্রতি আমার আকুণ্ঠ ভালোবাসা ব্যক্ত করেছিলাম। আমি বলেছিলাম যে, আমি আমৃত্যু আওয়ামী লীগে থাকবো, আমৃত্যু শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে থাকবো। কিন্তু আমার বক্তব্যটিকে কাট করে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমি একজন মুসলমান আমি অবশ্যই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বলবো। এটা আমি আমার প্রাণ থেকে বলবো। এটা আমার ঈমানি দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা স্লোগান দিয়েই এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। যারা এই স্লোগান দিতে পারেন না, যাদের জয় বাংলা স্লোগান দিতে কষ্ট হয় তারাই এসব প্রপাগান্ডা ছড়ান এবং আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে। ,
আইভী বলেন, যার মধ্যে দেশ প্রেম নাই তার মধ্যে ঈমান নাই। প্লিজ দয়া করে ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না। আমি আমার নেতাকর্মীদেরকে বলবো কোনো প্ররোচনায় , কোনো কথায় ভীত হবেন না, ভয় পাবেন না। আপনার তিনটা নির্বাচন করেছেন। ২০০৩ সালে নির্বাচন করেছেন, ২০১১ সালে করেছেন, ১৬ সালে নির্বাচন করেছেন। বাইশে করতে যাচ্ছেন। কোনো ভয় ভীতি আপনাদের দাবিয়ে রাখতে পারে নাই। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরণের কথা বলছে । কাজ কিন্তু প্রচুর করেছি। সুতরাং তাদের সমালোচনা থাকবে। সবকিছুর উপরে উঠে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। শেখ হাসিনার জন্য কাজ করেছি।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ জাতিয় পরিষদের সদস্য এড. আনিসুর রহমান দীপু ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত ও মহানগর যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বলসহ ১৪ দলের সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, যখন আমি ২০১১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম তখন আমার পাশে কেউ ছিলো না। সন্ত্রাস, অত্যাচার, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কারোই সাহস ছিলো না। তখন আমার পাশে এসে দাড়িয়েছে এই নারায়ণগঞ্জ নাগরীক সমাজ। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। পরে যখন ২০১৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিলো তখনও আপনারা আমার পাশে এসে দাড়িয়ে ছিলেন। আমি কাজ করি এই নগরবাসীর কল্যানে, কখনো জনগনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। আমি আশা করি আপনাদের সহযোগিতায় এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর সহযোগীতায় আমি নেত্রীকে নৌকা উপহার দিতে পারবো।
তিনি বলেন, আপনারা কাজ করবেন নৌকার জন্য, সন্ত্রাসমুক্ত নগরী গড়ে তোলার জন্য। আমাদের এই নগরীতে খুনের রাজত্ব হতে দিতে চাই না। আপনারা জানেন অনেক কাজ করেছি এবং অনেক কাজ বাকি করতে হবে; তাই আপনারা উন্নয়নের সার্থে আমাকে ভোট দিবেন।
সমাবেশ শেষে আলী আহাম্মদ চুনকা মিলায়তন থেকে শুরু করে ২নং রেল গেইট অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় পর্যন্ত মিছিলে অংশগ্রহন করেন নেতৃবৃন্দ ।